শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রাজনগর উপজেলঅর উতাইসার গ্রামে শিশু ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে তৎপর একটি মহল। ধর্ষণের ঘটনার ৩ দিন পর পাঁচ গাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছানা মিয়া আসামীকে পুলিশে সর্পোদ করলে মামলা রেকর্ড করে রাজনগর থানা পুলিশ।
প্রভাবশালী একটি মহল ঘটনার পর রাজনগর থানা পুলিশকে প্রভাবিত করে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পুলিশ আসামী নাহিদ আহমেদ ফাহিম (১৪) কে গ্রেফতার করে। নাহিদ আহমেদ ফাহিম উপজেলার মুন্সীবাজার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ৭ ম শ্রেণীর ছাত্র।
অভিযোগে জানা যায়, উতাইসার গ্রামের মেহের আলীর মেয়ে ভিকটিম(৫) বৃহস্পতিবার (১১জানুয়ারী) তার বাড়িতে খেলা করছিল। এসময় পাশের বাড়ির আসামী নাহিদ আহমেদ ফাহিম চিপস দেওয়ার কথা বলে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এর পর তাকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের চিৎকারে তার মা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ভিকটিমকে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভিকটিমের পিতা মেহের আলী বলেন, ঘটানার পর থেকে বিষয়টি ধামচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এলাকার আসুক মোল্লা ও পাঁচগাও ইউপি চেয়ারম্যান ছানা মিয়া। মামলাটি সঠিক ভাবে তদন্ত হবে কিনা বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত আছি।
শিশুর পরিবার আরো বলেন- ঘটনার পর থেকে প্রভাবশালীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছি।
এনিয়ে দেবীপুর গ্রামের ঈন্দ্রজিৎ দেব(৭১), মখলু মিয়া(৫০), মো: আব্দুল মালিক, শারমপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া(৫০), শ্রীভোগ গ্রামের সফর মিয়া বলেন, এধরনের ঘটনা আমাদের এলাকায় এই প্রথম ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে আমরা এই ঘটনার খবর শোনে মেহের আলীর বাড়িতে আসি। সব কিছু জানার পর মেহের আলীকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি। অপরাধীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হয়া প্রয়োজন।
এব্যাপারে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুস ছালেক প্রথমে জানতে চান কবে কোন স্থানের ঘটনা। তারিখ বলার পর তিনি বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীকেও গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। স্পর্শকাতর ঘটনার ৩ দিন পর কেন মামলা নেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদী যে সময অভিযোগ দিয়েছে তখন মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করলেও আসামী আটক করতে কেন বিলম্ব করলেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিকটিম হাসপাতালে ভর্তি থাকায় মামলা নিতে বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমের পরিবারের নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন- রাজনগর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারকে সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে।